শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তালাবদ্ধ কোটি টাকার ডাকবাংলো 

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮ ০৬ ০২  

তালাবদ্ধ-কোটি-টাকার-ডাকবাংলো 

তালাবদ্ধ-কোটি-টাকার-ডাকবাংলো 

পর্যটন এলাকায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে কোটি টাকায় নির্মাণ করা ডাকবাংলো কাজে আসছে না পর্যটকদের। নির্মাণের দু বছর পেরিয়ে গেলেও উদ্বোধনের অযুহাতে নষ্ট হচ্ছে রঙসহ আসবাবপত্র। 

এদিকে নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের বিজয়পুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা দিন দিন মুখ ফেরাচ্ছেন আবাসন সংঙ্কটের কারণে। অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় একদিনে সব সৌর্ন্দয্য দেখে ফেরা যায় না বলে। 

জানা গেছে, মেঘালয়ের পাদদেশে দুই সীমানার সন্নিকটে জিরো পয়েন্টের এক কিলোমিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হয় নেত্রকোনা জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্পের উল্টোদিকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দুর্গাপুর উপজেলায় বিজয়পুর ডাকবাংলোর কাজের উদ্বোধন করেন মানু মজুমদার।

আরো পড়ুন >>> ব্যতিক্রমী তরমুজে আশার আলো 

গত দুবছর ধরেই তালা বদ্ধ পড়ে আছে নির্মিত বাংলোটি। জেলা পরিষদের তত্ববধানে এবং অর্থায়নে প্রাক্কলন ব্যায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ১২ হাজার টাকার মধ্যে চুক্তিমূল্য ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫৯ টাকায় কাজটি করেছেন মেসার্স বাসেত প্রকৌশলী নামের ঠিকাদার। কিন্তু কাজের মেয়াদ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গত ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। উদ্বোধনের অজুহাতে তালাবদ্ধ পড়ে আছে। 

অথচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি দেখতে আসা পর্যটকদের দিনাদিন ফেরার তাগিদে অনেক কিছু না দেখেই ফিরে যেতে হয়। শুধুমাত্র থাকবার জায়গার অভাবে দেখতে পারেন না অপার সৌন্দর্য্য। উপভোগ করতে পারেন না নৈসর্গিক রূপ। 

বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড় কুল্লাগড়া ইউপির প্রায় ১৭ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। যা দেখতেই পুরো দিন সাবার। আবার রয়েছে শত বছরের পুরনো ক্যাথলিক গীর্জা রানীখং মিশন। যার সিঁড়িতে সিঁড়িতে ইতিহাস। যেগুলো শুনতেই কেটে যাবে বেলা। রয়েছে পানিপথের জিরো পয়েন্ট। স্থলপথে ভারতের বাঘমারা সীমানা। এমন অনেক সৌন্দর্য্য ভালো করে উপভোগ করতে পারেন না জেলা সহ দেশি বিদেশি কোন পর্যটকরাই। এতে উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাটিও। 

স্থানীয়রা বলছেন, দূর দূরান্তের পর্যটকরা যত ঘুরবে এখানকার যানবাহন চালক থেকে শুরু করে দোকানিরা তত লাভবান হবেন। সরকার পাবে রাজস্ব। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত দুবছর ধরে তালা বদ্ধ রয়েছে নির্মিত এই বাংলোটি। কারোরই কোনো গরজ নেই। নষ্ট হচ্ছে এর ভেতরে রাখা আসবাবপত্র।

আরো পড়ুন >>> স্বপ্ন দেখাচ্ছে চা, রফতানি বেড়েছে দ্বিগুণ

এ বিষয়ে জানতে ফোনে না পেয়ে স্বশরীরে গিয়েও জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রকৌশলীকে অফিসে গিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে কেউ কোনো তথ্য দিতেও রাজি হন নি। 

দুর্গাপুরের ইউএনও রাজিব উল আহসান জানান, এরইমাঝে পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছেন। বন্ধ থাকার বিষয় এড়িয়ে গিয়ে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোটিও অচিরেই উদ্বোধন করে খুলে দেয়া হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী